এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কামাল মার্কেটে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকান জবর দখলের ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় দোকান ঘরের মালিক বাধা প্রদান করলে হামলাকারীরা মালিক পক্ষের লোকজনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চলছে উত্তেজনা। এদিকে দোকানঘর দখলের ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আলী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানাগেছে, ইউনিয়নের মালুমঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মগছড়াঝুম এলাকার মৃত মো.কালুর স্ত্রী বয়োবৃদ্ধা তরিকা খাতুনের দানপত্রমূলে ৪০শতক জমি রয়েছে বগাচর মৌজা এলাকায়।ওই জমি থেকে তরিকা খাতুন তার পুত্র কামাল হোসেনকে ত্রিশ শতক এবং অপর পুত্র জয়নালকে পাঁচ শতক জমি বিক্রি করেন। ইতিমধ্যে জয়নাল তার ভাই কামালকে মা তরিকা খাতুনের ক্রয়কৃত জমি পাঁচ শতক ২০১১সালে রেজিস্ট্রিমূলে বিক্রি করে নিঃস্বর্তবান হয়ে যায়।
তরিকা খাতুনের বিক্রিত জায়গার চিহ্নিত অংশমতে পুত্র কামাল তার নামে মার্কেট তৈরি করে বিভিন্ন দোকানঘর ভাড়া দেয়। তরিকা খাতুনের পুত্র জয়নাল তার ভাই কামালকে বিক্রিত জায়গায় জোরপূর্বক ভাবে নির্মিত দোকানঘর জবর দখলে নিতে কয়েকদফা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। সর্বশেষ শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে কামাল মার্কেটে দোকান ঘর জবর দখলে নিতে চেষ্টা চালায়। এ সময় দোকান ঘরের মালিকপক্ষের লোকজনের সাথে ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্তদের সাথে কয়েকদফা তর্কাতর্কি ও হামলার ঘটনা ঘটে।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দোকান ঘর জবর-দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা ছিল।সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে দু’পক্ষের লোকজনকে বিতাড়িত করে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দোকান ঘর বিরোধ নিয়ে তরিকা খাতুন নামের এক মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল।অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এ এস আই আবদু রজ্জাককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। এরপরে দোকান নিয়ে কি ঘটনা হয়েছে তা আমার জানা নেই।##
পাঠকের মতামত: